ফেডারশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির এক শীর্ষ ব্যক্তির দূর্ণীতি ও অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়া লক্ষ্যে
আহুত শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট প্রতিহত করার আহ্বান।
রোববার, ১ জুলাই ২০১৮
চট্টগ্রাম : অদ্য ১ জুলাই ১৮ই রোববার সকাল ১১টায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দগন নগর পুলিশের নবাগত পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমানের সাথে তার কার্য্যলয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে কমিশনার মহোদয়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সাক্ষাত অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিঃ কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান ও অতিঃ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম। সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক এম জসিম উদ্দিন রানা, সদস্য সচিব উজ্বল বিশ্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, মোঃ বেলাল, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, শাহ আলম হাওলাদার, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ ওসমান গনি, নজরুল ইসলাম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মোঃ এমরান হোসেন, সুনীল দেবনাথ, হারুন উর রশিদ বাবুল, মোঃ ইউসুফ, মোঃ জামাল মুন্সী, মোঃ আমিন, মোঃ শাহাজাহান, মোঃ মনজুর আলম, মোঃ জয়নাল, মোঃ মানিক, মোঃ আবুল হাশেম, মোঃ সোহেল প্রমুখ।
নগর পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারধীন থাকা স্বত্বেও আগামী ২২ জুলাই আহুত অবৈধ পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট সর্ম্পকে ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ বিশদ বক্তব্য তুলে ধরেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবৈধ ধর্মঘট আহ্বানকারী আঞ্চলিক ফেডারশনের এক নেতার সীমাহীন দূর্ণীতি ও অব্যহত চাঁবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মূলত এই ধর্মঘটের নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। চিহ্নিত এই নেতা রি-ম্যাক্সিমা, এইচ পাওয়ার,ব্র্যান্ডের তথাকথিত অটোটেম্পো বিক্রির সাথে জরিত থেকে চট্টগ্রাম বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের অসাধু কর্মকর্তদের সাথে আতাত করে গত এক বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রেজিষ্টেশন ও রুট পারমিট পাইয়ে দেওয়ার পুজিতে।
অপরদিকে জামাত-জঙ্গী সংশ্লিষ্ট একটি শ্রমিক সংগঠন ও তার নেতাকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে সিএনজি চালিত ৪০০০ অটোরিক্শা নিবন্ধনের অযৌক্তিক দাবী উত্তাপন করা হয়েছে। ফলে আহুত এই ধর্মঘট প্রকৃত পক্ষে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধর্মঘট।
নেতৃবৃন্দরা বে-আইনী ধর্মঘট আহ্বানকারী মতলববাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে বলেন কার অর্থায়নে কি স্বার্থে এই ধর্মঘট কথিয়ে দেখা জরুরী এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে নিঃশর্তভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহার করার জন্য দূর্ণীতিবাজ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
পুলিশ কমিশনার মহোদয় তাকে সম্মান জানানোর জন্য সংগঠন ও নেতৃবৃন্দকে ধণ্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন।