রংপুর প্রতিবেদক, সিটিজিবার্তা২৪ডটকম
শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬
রংপুর : গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনকে বাসায় ডুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গুলিতে নিহত সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল আলম লিটনের মরদেহ হিমঘরে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঞ্জুরুল আলম লিটনের চিকিৎসক সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বিমল চন্দ্র বর্ম্মন জানান, সাংসদের ডান হাতে দুটি ও বুকের ডান পাশে একটি গুলি লেগেছে।তার শরীরে মোট চারটি বুলেট লেগেছে। দুটি বুলেট বুকে লাগায় তাকে বাঁচানো শেষতক সম্ভব হয়নি। অবশিষ্ট দুটি বুলেটের একটি লেগেছে ডান হাতে, অপরটি ডান কাঁধে। এর আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙায় নিজ বাসভবনে সাবেক এই সংসদ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।
রংপুর রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিচালক (ডিআইজি)খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, রোববার সকালে সুরতহাল ময়নাতদন্তের পর লিটনের মরদেহ সেদিনই সকাল ১০টা নাগাদ পরিবারের কাছে হাস্তান্তর করা হবে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি মঞ্জুরুল আলম লিটন আজ শনিবার সন্ধা ৬ টার দিকে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ বামনডাঙ্গা এলাকার বাসভবনে দুবৃর্ত্তদের গুলিতে গুরতর আহত হন। এ অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসা হলে, তাকে দ্রুত ৫ম তলায় পোষ্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে ডাক্তাররা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন কিন্তু সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি মারা যান। এরপর রাত ৮ টার দিকে সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান লিটনের মৃত্যুসংবাদ অপেক্ষারত সাংবাদিকদের জানান।
এমপি লিটন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি র্যাব পিবিআই সহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন। তারা পোস্ট অপরেটিভ ওয়ার্ডে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
ডিআইজি গোলাম ফারুক জানান, সকাল ৯টার মধ্যে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে ১০টা নাগাদ মঞ্জুরুল আলম লিটনের মরদেহ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ডিআইজি আরও জানান, ইতোমধ্যে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম র্যাব ও বিজিবি’র কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন। এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ডিআইজি গোলাম ফারুকও শিগগিরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন।
এমপি লিটনের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিহতের স্ত্রী ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন। হাসপাতাল জুড়ে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
এমপি লিটনের নিহত হওয়ার বিষয়ে পুলিশের কোনও কর্মকর্তাই কথা বলতে রাজি হননি। কারা কী উদ্দেশ্যে তাকে গুলি করেছে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।