শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:১৩
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালিয়ে এক বস্তা দেশিয় অস্ত্রসহ সন্দেহভাজন ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত দুটি হলে তল্লাশি চালানো হয়।
৩০ জন আটকের বিষয়টি উপস্থিত সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার কারণ উদঘাটনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোকাদের মিয়া জানান, সংঘর্ষে পর উর্ধ্বতন কর্মর্কতাদের নির্দেশে এ তল্লাশি করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বেলা পৌনে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ শাহ আমানত হলের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসাদ্দেক হোসাইন বলেন, দেড় ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুই হল থেকে এক বস্তা দেশিয় তৈরি রামদা ও রড উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি সংঘর্ষে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। বারবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় এই দুটি হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
তল্লাশির সময় হাটহাজারী সার্কেলের এডিসি মো. মশিউদ্দৌলা রেজা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা যেন থাকতে না পারে এজন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়েছে।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বৃহস্পতিবার রাতের সংঘর্ষের জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে লিপ্ত এক পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও অন্য পক্ষ সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শাটল ট্রেনে জুনিয়র কর্মী সিনিয়রকে সালাম না দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। সংঘর্ষে মোট ১৯ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আহত হয়।















