সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫
ওয়াহিদুল আলম, সিটিজিবার্তা২৪ডটকম
চট্টগ্রাম ঃ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি রায় কার্যকর হওয়ায় নিজের সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। যেই বাড়ির বাসিন্দা সাকা চৌধুরী ও মহিউদ্দিন চৌধুরী দু’জনইে। রোববার সকালে মহিউদ্দিনের বাড়ির সামনেই জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয় সাকা চৌধুরীর।
রোববার মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের এক সভায় মহিউদ্দিন নিজের চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যুতে এ সন্তষ্টি জানান।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাসির রায় কার্যকর হওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রেতাত্মা নতুন প্রজন্মকে গ্রাস করছে। এই প্রেতাত্মাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ভ্যানগার্ড হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আজ একটি বাঙালী জাতিস্বত্তার বাতিঘর। এর বিরুদ্ধে অতীতেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। এই মেলার মাঠ ছিনতাই হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে। তারপরও বিজয় মেলার অব্যাহত কার্যক্রমে কোন বাধা পড়েনি। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা বাঙালীর ঐতিহ্য, লোক সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি আদর্শবাহী মঞ্চ। এই মঞ্চ থেকেই প্রতিবারই ঘোষিত হয় “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি”।’
দুই যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাসি কার্যকর হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সন্তুষ্টি সভার আয়োজন করে বিজয় মেলা পরিষদ।
ওয়ার্কাস পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি এড.আবু হানিফের সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামীলীগের আইন-বিষয়ক সম্পাদক এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন এ কে এম বেলায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম, জাসদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবুল, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ, অর্থসচিব পান্টু লাল সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র, ১৪ দল নেতা ত্বরিকত ফেডারেশন মহানগর আহ্বায়ক কাজী মোরশেদ কাদেরী, মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী, মহানগর ন্যাপ নেতা মিটুল দাশ গুপ্ত, প্রদীপ খাস্তগীর, নুরুল আলম শান্তি, এম.এন ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. সুনীল সরকার, যুগ্ম সম্পাদক এম. এ রশিদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, শহীদুল আলম, সদস্য হাজী বেলাল আহমদ, গৌরাঙ্গ চন্দ্র ঘোষ, আতিকুর রহমান, শহীদ সরওয়ারর্দী, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদ, মাহবুবুল আলম আজাদ, এস.এম সাঈদ সুমন, নুরুল আনোয়ার, আবু হোসেন আবু, মেজবাহ উদ্দিন নোবেল প্রমুখ।
এরআগে শনিবার মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের পর রোববার সকাল ৯টার দিকে সাকা চৌধুরীর মরদেহ তার নিজ গ্রামের বাড়ি গহিরাতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিয়ে আসা হয়। এর আধা ঘন্টার মধ্যেই তার মরদেহ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাজায় চাচাতো ভাই রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, মহিউদ্দিন চৌধুরী কিংবা আওয়ামী লীগ বিএনপির কোনো স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন না।




