বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিশু সমাবেশে নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু
শনিবার, ২৩ জুন ২০১৮
সিটিজিবার্তা২৪.কম ডেস্ক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেছেন, ৬৯ বছরে আওয়ামী লীগের প্রাপ্তি হলো ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, উন্নত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়া।
আজ শনিবার ২৩ জুন দেশের সবচেয়ে বড় প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৯ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত আয়োজিত শিশু সমাবেশ ও আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল। নানা চড়াই-উতরাই মোকাবিলা করেছেন এ দলটির নেতাকর্মীরা।
তিনি উপস্থিত শিশু ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ৭৫‘র ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয় এবং আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ক্রমাগতভাবে দলের নেতা-কর্মীদের হত্যার পাশাপাশি হয়রানি করা হয়েছে এমনকি দলের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও শেষ হয়ে যায়নি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ।
১৯৮১ সালের বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ১৭ এপ্রিল দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দলটির প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যান। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ৭১’র পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারসহ দেশের সব ষড়যন্ত্রকারীকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছেন। দেশকে জঙ্গীবাদমুক্ত করেছেন। সময়ের প্রয়োজনে বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল । শুধু তা-ই নয় মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে বাংলাদেশ আলোড়নও সৃষ্টি করেছেন।
মুখ্য আলোচকের ভাষণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেছেন, বাংলাদেশে যখনই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিজয় লাভ করেছে, সরকার গঠন করেছে তখনই বাংলাদেশের মানুষ লাভবান হয়েছে। আর যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন শুধু দেশের মানুষ নয়, দেশও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ৭১‘র নির্বাচনের পর এদেশের মানুষ একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সাড়ে তিন বছর বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বাংলাদেশ যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে দাড়াতে শিখেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরবর্তী একুশ বছর জিয়া এবং স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে দেশ অন্ধাকার থেকে অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সেই অন্ধকার থেকে বাংলাদেশ আজ আলোর পথের যাত্রী।
বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান ফেরদৌস’র সভাপতিত্বে ও জোটের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিশু সমাবেশ ও আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার, জেলা শিশু একাডেমীর শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস সুলতানা, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আলী আকবর, সাংস্কৃতিক সংগঠক শওকত আলী সেলিম, যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ, আকবর শাহ থানা আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত, সংস্কৃতিকর্মী তানভীরুল ইসলাম নাহিদ, শহিদুল্লাহ কায়সার, ফয়েজ নূর নাহার সেজুতি, সাঈদুর রহমান পুতুল, নাছির উদ্দিন কুতুবী, জালাল আহমেদ রানা, হারুনুর রশিদ মো: আজম, আল হাসান সামি, ইমদাদুল রহমান রিয়াদ, মো: ইসমাইল, সাজু দাশ প্রমুখ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ৫২‘র ভাষা আন্দোলন, ৭১‘র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫‘র ১৫ আগস্ট কালোরাত্রিতে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। পরে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে কোমলমতি নতুন প্রজন্মের শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।





