সিটিজিবার্তা নিউজ ডেস্ক ।।
বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬
চট্টগ্রাম: নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর চট্টলার গণমানুষের প্রিয় নেতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাসভাজন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতি ইঙ্গিত রেখে স্বাচিপের জেলা সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ শরিফের বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন স্বাচিপের চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক ও নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় বিএমএর সহ-সভাপতি ডা. শেখ মো. শফিউল আজম।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ডা. শফিউল আজম বলেছেন, সংগঠনের আহবায়ক হিসেবে আমার অনুমতি ব্যতিরেখে এ ধরনের শিষ্টাচার বহির্ভূত বিবৃতি প্রেরণ ও প্রকাশ করা সাংগঠনিক রীতি ও নীতি বিরুদ্ধ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী শুধু চট্টগ্রামের চিকিৎসক সমাজ নয়, চট্টলাময় আপামর জনসাধারণের নন্দিত ও গণমুখী নেতা হিসেবে যেখানেই অন্যায়, অবিচার, জুলুম ও লুটপাট সেখানেই তিনি প্রতিবাদী ভূমিকায় জনস্বার্থে জনগণের সাথে ছিলেন, আছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের চিকিৎসা সেক্টরে বিরাজিত যাবতীয় অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও তিনি সরব ভূমিকা রেখে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো একজন বর্ষীয়ান নেতাকে ইঙ্গিত করে এ ধরনের বিবৃতি অত্যন্ত ঘৃণিত ও নিন্দনীয় বলে স্বাচিপ নেতা-কর্মীরা মনে করে।
বিবৃতিদাতা ডা. মোহাম্মদ শরিফ ৬ বছরের বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরিতে ঢাকায় কর্মরত এবং এ কারণে চট্টগ্রাম জেলা স্বাচিপের সব কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। মূলত চিকিৎসক সমাজের কাছে তিনি একজন সুবিধাবাদী ফ্রাইডে পলিটিশিয়ান হিসেবে চিহ্নিত।
জনবিচ্ছিন্ন একজন সরকারি কর্মকর্তা সংগঠনের রীতিনীতি না মেনে আওয়ামী লীগের একজন বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে এ ধরনের বিবৃতি দিতে পারেন না।
ডা. মোহাম্মদ শরিফের প্রেরিত বিবৃতিকে ধৃষ্টতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিবৃতির জবাব চিকিৎসক সমাজ তথা চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণই দেবে। অপকৌশল অবলম্বনে অনৈতিক পন্থায় জামায়াত ও বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের ভোট নিয়ে নির্বাচনে তথাকথিত জয় পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান না করে ডা. শরিফ ও তার সহযোগীদের বাস্তবতার জমিনে এসে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নিজেদের সংশোধন করার আহ্বান জানাই।
ডা. শফিউল আজম বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কী কারণে, কোন চক্রের নিয়ন্ত্রণে সাধারণ বাজার দরের চেয়ে ৭৫ শতাংশ হারে বেশি মূল্যে মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি কিনতে হয় তা সাধারণ জনগণ জানতে চায়। লাশের গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে যে অনৈতিক বাণিজ্য চলছে সাধারণ মানুষ এর অবসান চায়।
সাধারণ রোগীরা সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হোক জননেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী গণমানুষের নেতা হিসেবে তা চান না বলেই তিনি লুটেরাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এতে এ চিহ্নিত চক্রের আঁতে ঘা লেগেছে।
একই সময়ে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) যে ভাষায় বিবৃতি দিয়েছেন তা ডা. শরিফের বিবৃতির পরিপূরক। সেদিনের ভোট কেন্দ্রের ক্লোজসার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি পর্যবেক্ষণ করলেই দৃশ্যমান হবে ড্যাব ও জামায়াতপন্থী সংগঠনের (এনডিএফ) সিংহভাগ নেতা-কর্মীর নির্বাচনী কেন্দ্রে উপস্থিতি ও ভোট প্রদানের প্রামাণ্যচিত্র।
উপরোল্লেখিত বিবৃতিগুলোর পাশাপাশি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী কর্তৃক প্রেরিত বিবৃতিকে একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার উল্লেখ করে ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, ভোটার না হয়েও তিনি কেন্দ্রে গেছেন, উপজেলায় কর্মরত চিকিৎসকদের বদলি এবং ভোট না দিলে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রতিদিন কর্মস্থলে উপস্থিতির ভয় দেখিয়ে তিনি চিকিৎসকদের ভোট আদায় করেছেন। নির্বাচনের পরদিন অনৈতিকভাবে বিজয়ী প্যানেলের সাথে বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি বিলিয়েছেন।
ফেসবুকে বিভিন্ন অনৈতিক স্ট্যাটাস প্রদান ও নিজেকে একজন হাস্যকর ব্যক্তিতে পরিণত করা এ সিভিল সার্জন চট্টগ্রামের মতো একটি বড় জেলায় সিভিল সার্জন হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। নিজের পদোন্নতি নিশ্চিত করতেই তিনি এসব কর্মকাণ্ড করছেন।